ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ  পাওয়া ৪১ অধম্য শিক্ষার্থী পেয়েছেন শিক্ষা উপ-বৃত্তি ও সম্মাননা

২০২৩ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪ ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার হতদরিদ্র পরিবারের ৪১ জন অধম্য শিক্ষার্থীর মাঝে এককালীন শিক্ষা উপবৃত্তি ও সম্মাননা ক্রেস্ট বিতরণ এবং সংবর্ধনা দেওয়া  হয়েছে। এনজিও সংস্থা হীড বাংলাদেশ কতৃক চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে তাদের ঋণ কর্মসুচির আওতায় উপকারী সদস্যদের ছেলে মেয়ের মাঝে এই শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেছেন।
গতকাল শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সম্মেলনকক্ষে হীড বাংলাদেশ কতৃক শিক্ষা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন  চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.ফখরুল ইসলাম। পরে তিনি ৪১ জন কৃতি শিক্ষার্থীর হাতে নগদ ১ লাখ ৭৩ হাজার টাকা ও একটি করে ক্রেস্ট তুলে দিয়েছেন।
হীড বাংলাদেশ কক্সবাজারের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক এমএ আজিজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চকরিয়া উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রতন বিশ্বাস, চকরিয়া থানার ওসির প্রতিনিধি এসআই মফিজুর রহমান। বৃত্তি পেয়ে অনুষ্ঠানে নিজের অভিমত প্রকাশ করে বক্তব্য দেন এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী আবদুল হামিদ মুন্না ও শিক্ষার্থীর অভিভাবক নুরুল ইসলাম।
হীড বাংলাদেশ চকরিয়া শাখার ব্যবস্থাপক মাহফুজ ইরাকীর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শিক্ষা বৃত্তি বিতরণ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন হীড বাংলাদেশ ঢেমুশিয়া ইউনিয়ন শাখার ব্যবস্থাপক জনি চৌকিদার। এসময় অনুষ্ঠানে হীড বাংলাদেশ চকরিয়া শাখার সকলস্থরের কর্মকর্তা, উপকারভোগী পরিবার সদস্য, জিপিএ প্রাপ্ত ছাত্র-ছাত্রী,  অভিভাবক ও সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪ প্রাপ্ত প্রতিজন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার টাকা করে ও জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা পেয়েছেন ৫ হাজার টাকা করে শিক্ষা বৃত্তি ও সম্মাননা ক্রেস্ট।
অনুষ্ঠানের সভাপতি হীড বাংলাদেশ কক্সবাজারের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক এমএ আজিজ বলেন, হীড বাংলাদেশ সারাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও উন্নয়নখাতে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে হতদরিদ্র পরিবারের কৃতি শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষা উপবৃত্তি কার্যক্রম চালু করেছে। আমরা আগামীতে উচ্চ শিক্ষা অর্জনে (বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া) শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই আগামীতে  চকরিয়ার হতদরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য হীড বাংলাদেশ এর মানবিক দরজা খোলা থাকবে এটা নিশ্চয়তা দিচ্ছি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ইউএনও মো.ফখরুল ইসলাম বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতের অগ্রগতি উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই অংশ হিসেবে প্রতিটি বিদ্যালয়কে অবকাঠামোগত উন্নয়নে নতুনভাবে তৈরি করছেন। শিক্ষার সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিত করছেন। পাশাপাশি উপবৃক্তি সুবিধা চালু ও মিড ডে মিল কর্মসুচির মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার দেয়ার উদোগ নিচ্ছেন।
তিনি বলেন, একজন শিশু মায়ের পেটে থাকাবস্থায় সরকার তাঁর দায়িত্ব নিয়েছেন। শিশুর মাকে তিনবছর মাতৃত্বকালীন ভাতা দিচ্ছেন। যাতে জন্মের পর ওই শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে পরিবার। এরপর শিশু বড় হলে যখনই বিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করেছে, তখনই সরকার তাঁর জন্য উপবৃত্তি সুবিধা দিচ্ছে। এভাবেই সরকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আগামীর দক্ষমানব সম্পদ হিসেবে তৈরী করতে সরকারের সবধরনের সহযোগিতা করছেন।
ইউএনও ফখরুল ইসলাম বলেন, হীড বাংলাদেশ কৃতি শিক্ষার্থীর জন্য উপবৃত্তি দিয়ে একটি অসাধারণ ভালো কাজ করেছে। সেইজন্য আমি হীড বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই। এনজিও সংস্থা হলেও তাঁরা সরকারের অংশিজন স্টকহোল্ডার হিসেবে কাজ করছেন। তাদের ভালো কাজ গুলো নিসন্দেহে মানুষের কল্যাণে ভুমিকা রাখছে। ##

পাঠকের মতামত: